‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’: ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের নামের তাৎপর্য কি?
টাইমস বাংলাদেশ ডেস্ক | ১০ মে ২০২৫ ইং
ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে “অপারেশন বুনিয়ান মারসুস”। শনিবার (১০ মে) ভোরে এই অভিযান শুরু হয়, যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ইসলামি উৎস ও শব্দের অর্থ:
“বুনিয়ান মারসুস” (بنيان مرصوص) আরবি শব্দগুচ্ছ, যার আক্ষরিক অর্থ — “সীসা গাঁথা প্রাচীরের মতো একটি অটুট কাঠামো”। এই শব্দটি পবিত্র কোরআনের সুরা আস-সাফ (৬১:৪) থেকে নেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালোবাসেন তাদের, যারা তার পথে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে, যেন তারা সীসা গাঁথা একটি প্রাচীর।”
(সুরা আস-সাফ, আয়াত ৪)
এই আয়াত মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং দৃঢ় প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
প্রতীকী বার্তা ও কৌশলগত উদ্দেশ্য:
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই নামটি বেছে নেওয়ার মাধ্যমে কেবল একটি সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়নি—তারা এর মাধ্যমে নিজেদের সংঘবদ্ধতা, ধর্মীয় অনুপ্রেরণা এবং শত্রুর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে চেয়েছে।
এই নামকরণ একদিকে যেমন সেনা সদস্যদের মনোবল বাড়ানোর উদ্দেশ্যে, তেমনি এটি মুসলিম বিশ্বের প্রতি একটি আদর্শিক ও প্রতীকী বার্তাও পাঠাচ্ছে। কৌশলগতভাবে এটি যুদ্ধকে কেবল সীমান্ত দ্বন্দ্ব হিসেবে নয়, বরং একটি নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবেও উপস্থাপন করছে।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখন উত্তেজনা চরমে, তখন কোরআনের আয়াত অবলম্বনে সামরিক অভিযানের নামকরণ পরিস্থিতিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু সামরিক নয়, ধর্মীয় ও আদর্শিক বার্তারও বহিঃপ্রকাশ—যা এই সংঘাতকে আরও জটিল ও অর্থপূর্ণ করে তুলছে।
টাইমস বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক।