কুড়িগ্রাম সীমান্তে পুশব্যাকের শিকার ৩৫ রোহিঙ্গাসহ আটক ৪৪।
TIMES BANGLADESH ডেস্ক | কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পুশব্যাকের ঘটনা বাড়ছে। মঙ্গলবার (৬ মে) গভীর রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে ২১ জন রোহিঙ্গা ও ৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। একইসাথে, ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে ভারত প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। সবমিলে ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের আসাম রাজ্যের দক্ষিণ শালমারা-মানকারচর জেলার শাহপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প থেকে গভীর রাতে ৩০ জনকে পুশব্যাক করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জন রোহিঙ্গা ও ৯ জন বাংলাদেশি ছিলেন।
বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের রৌমারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিজিবি টহল দল ২৭ জনকে সরাসরি সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে, এবং রৌমারী থানা পুলিশ কর্তিমারী এলাকা থেকে আরও ৩ জনকে আটক করে।
আটক রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের বরাতে জানা যায়, তারা ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতের আসামের গৌহাটি লকড়া সেন্ট্রাল জেলে আটক ছিলেন। পরে তাদের গোয়ালপাড়া মাটিয়াল ডিটেনশন ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাদের সব তথ্যপ্রমাণ কেড়ে নেওয়া হয় এবং আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতের আঁধারে পুশব্যাক করে বিএসএফ।
বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান বলেন, “আমরা আটককৃতদের পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য যাচাই করছি। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।”
ভূরুঙ্গামারীতে দালালের ফাঁদে পড়ে আটক ১৪ রোহিঙ্গা।
একইদিন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভাওয়ালকুড়ি সীমান্ত এলাকায় নারী ও শিশুসহ ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবি। তারা সবাই কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দালালের মাধ্যমে সীমান্তে এসেছিলেন।
বিজিবি ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক জানান, “আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তাদেরকে উন্নত দেশে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে দালালরা ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে এনে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।