Friday, May 23, 2025
Homeরাজনীতিরাফায়েল ভূপাতিতের দাবি: দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারপতন, উল্টো চীনা যুদ্ধবিমান নির্মাতার শেয়ার মূল্য...

রাফায়েল ভূপাতিতের দাবি: দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারপতন, উল্টো চীনা যুদ্ধবিমান নির্মাতার শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি!

রাফায়েল ভূপাতিতের দাবি: দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারপতন, উল্টো চীনা যুদ্ধবিমান নির্মাতার শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি!

TIMES BANGLADESH | আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ মে ২০২৫ইং

ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ফরাসি যুদ্ধবিমান নির্মাতা দাসো অ্যাভিয়েশন বড় ধাক্কার মুখে পড়েছে। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (PAF) দাবি অনুযায়ী, ভারতের রাফায়েলসহ ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনার পর কোম্পানিটির শেয়ারমূল্যে তাৎপর্যপূর্ণ পতন ঘটেছে।

পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের।
পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের।

বিশ্ববাজারে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রাফায়েলের সক্ষমতা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।


পাকিস্তানের দাবি: পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত:

পাকিস্তানের সরকারি সূত্র এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) দাবি করেছে, রাফায়েল ফাইটার জেটসহ মোট পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এই দাবির সত্যতা এখনও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার বা স্বীকার না করলেও বিষয়টি আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দৃষ্টি কেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম ব্যয়বহুল ও উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সম্পদ হিসেবে বিবেচিত রাফায়েলের এমন বিপর্যয় বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ধাক্কা দিয়েছে।


চীনা প্রতিপক্ষের উত্থান: চেংডু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন:

বিপরীতে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত চীনা উৎপাদিত JF-17 Thunder এবং J-10C যুদ্ধবিমানের সফলতা চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন-এর শেয়ারমূল্যে উল্লম্ফন ঘটিয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ইতিবাচক প্রতিফলন হিসেবে চেংডুর শেয়ার প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির বাস্তব সফলতাই এখন প্রতিরক্ষা খাতের কোম্পানিগুলোর বাজারমূল্যে সরাসরি প্রভাব ফেলছে।


বাজার বিশ্লেষণ ও প্রতিরক্ষা শিল্পের বাস্তবতা:

বিশ্বের প্রতিরক্ষা শিল্পে, বিশেষ করে বিমান প্রযুক্তি খাতে, যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তব কার্যকারিতা এখন বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের মূল নির্ধারক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষক জ্যান-পিয়েরে ল্যাগরেঞ্জ, যিনি ইউরোপিয়ান অ্যারোডিফেন্স ইনডাস্ট্রিজ ফোরামের সিনিয়র রিসার্চার, বলেন:

“বর্তমানে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির বাজার শুধু প্রযুক্তিগত প্রচার বা সামরিক চুক্তির ওপর নির্ভর করে না। বরং যুদ্ধক্ষেত্রে সেই প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রমাণই বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করছে।”


বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে প্রভাব:

এই পরিস্থিতি শুধু ফ্রান্স বা চীনের প্রতিরক্ষা খাতে নয়, বরং বহুজাতিক প্রতিরক্ষা ও অ্যারোস্পেস শিল্পের ভবিষ্যত দিকনির্দেশনায় নতুন ধারা তৈরি করছে। বিশেষ করে, নিম্নলিখিত বিষয়ে নজর দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা:

  • যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির সফলতা ও টিকে থাকার ক্ষমতা
  • নির্ভরযোগ্যতা বনাম প্রচারিত সক্ষমতা
  • মূল্যবান সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা
  • উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ক্রয়ের নীতি পরিবর্তন

পাক-ভারত সাম্প্রতিক সংঘর্ষ কেবল আঞ্চলিক নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগই নয়, বরং বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা শিল্পে বাজারগত প্রতিক্রিয়া এবং বিনিয়োগের নতুন গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এই বাস্তবতায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নয়, বরং প্রমাণিত কার্যকারিতা ও যুদ্ধক্ষেত্রের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে, যা ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতায় তাদের টিকিয়ে রাখবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular