Friday, May 23, 2025
Homeবিশ্বপাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার: সেনাপ্রধান আসিম মুনির ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত।

পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার: সেনাপ্রধান আসিম মুনির ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত।

পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার: সেনাপ্রধান আসিম মুনির ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত।

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের দাবি, সামরিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | টাইমস বাংলাদেশ | ২০ মে ২০২৫

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে— যা দেশটির সামরিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২০ মে) পাকিস্তান সরকারের এক ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়।

পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার: সেনাপ্রধান আসিম মুনির ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত।
পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার: সেনাপ্রধান আসিম মুনির ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত।

এই পদমর্যাদা পাকিস্তানে এর আগে কেবল একবারই প্রয়োগ হয়েছিল— সে সময়ের সেনাশাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের জন্য। প্রায় ছয় দশক পর আবারও কাউকে এই মর্যাদায় উন্নীত করা হলো।

সামরিক সাফল্যের প্রেক্ষাপটে এই পদোন্নতি:

সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার জেরে চারদিনব্যাপী সংঘাতে পাকিস্তানের “সামরিক সাফল্য” ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নেতৃত্বে ‘অসাধারণ কৌশলগত ভূমিকা’র স্বীকৃতি হিসেবে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়—
“জেনারেল আসিম মুনির দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অসামান্য নেতৃত্ব, সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তার সামরিক দূরদর্শিতা ও দৃঢ় অবস্থানের স্বীকৃতি হিসেবেই তাকে ফিল্ড মার্শালের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।”

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে জেনারেল আইয়ুব খানকে ফিল্ড মার্শাল উপাধি দেওয়া হয়েছিল। এরপর এত বছর পেরিয়ে ফের সেই একই মর্যাদায় উন্নীত হলেন আরেক সেনাপ্রধান— যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক প্রভাব ও নতুন মাত্রা যোগ করার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

সেনা-পদোন্নতির পাশাপাশি বিমানবাহিনী প্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধি:

এদিন আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ভূমিকার জন্য এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিধুর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিসভার ব্যাখ্যা অনুযায়ী,
“এই পদক্ষেপগুলো কেবল জাতীয় মনোবল বাড়িয়েছে না, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।”

রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণেও তাৎপর্যপূর্ণ:

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদোন্নতি শুধু সামরিক নয়, বরং রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক চাপে যখন পাকিস্তান টালমাটাল— তখন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় এবং মর্যাদাবান করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular