চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে হঠাৎ করেই দৃশ্যপট বদলে দিলেন জিম্বাবুয়ের নবীন লেগ স্পিনার মাসেকেসা। শেষ সেশনে মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে ৪টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ, যার মধ্যে তিনটিই ছিল এই স্পিনারের শিকার।
দিনের শুরুটা মাসেকেসার জন্য ছিল হতাশার। প্রথম দুটি সেশনে বল করতে পেরেছিলেন মাত্র ৫ ওভার, তাতে রান দেন ২২, উইকেট ছিল শূন্য। বল সঠিক জায়গায় ফেলতে পারছিলেন না, স্পিনও আদায় হচ্ছিল না। কিন্তু দিন গড়াতেই ভাগ্য বদলে যায়।
বাংলাদেশের শান্ত ও মুশফিকুর রহিম যখন দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছেন, তখন ইনিংসের ৭০ ওভারে আবার বোলিংয়ে ফেরানো হয় মাসেকেসাকে। এরপরই আসে নাটকীয়তা। নতুন স্পেলের প্রথম ওভারেই উদাসীন এক শটে শান্ত তাকে উইকেট উপহার দেন। ভাঙে ৬৫ রানের জুটি।
এই উইকেট পাওয়ার পর যেন বদলে যান মাসেকেসা। এরপর জাকের আলি ও নাঈম হাসানকেও তুলে নেন। এর মাঝেই মুশফিকুর রহিম রান আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ২৫৯ থেকে হয়ে যায় ৭ উইকেটে ২৭৯।
দিন শেষে বাংলাদেশ পৌঁছে ৭ উইকেটে ২৯১ রানে, এখনও ৬৪ রানে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচে লড়াইয়ে ফিরেছে জিম্বাবুয়ে। এই ঘুরে দাঁড়ানোর নায়ক মাসেকেসা।
মাত্র ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ২৮ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার এবারই খেলছেন টেস্ট অভিষেকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম উইকেট পেয়ে রোমাঞ্চিত তিনি।
মাসেকেসা বলেন, “আমি খুবই খুশি। আমার জন্য বিশেষ এক মুহূর্ত এটি। প্রথম উইকেট পেয়ে সত্যিই অবাক হয়েছি। আমার কাছে এর মূল্য অনেক। জিম্বাবুয়েকে টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করা বিশাল গর্বের বিষয়।”
নিজের আদর্শদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, “আমি সবসময় লেগ স্পিনারদের ভক্ত। শেন ওয়ার্ন, গ্রায়েম ক্রিমার, আদিল রাশিদ, ইউজভেন্দ্র চেহেল, অ্যাডাম জ্যাম্পা – সবার কাছ থেকেই শেখার চেষ্টা করি। এমনকি বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনের বোলিংও মন দিয়ে দেখি।”
মাসেকেসার বিশ্বাস, এখনও ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ভালো সুযোগ আছে। “বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলছে, তবে আমরাও ভালোভাবেই ম্যাচে আছি। আগামীকাল আমরা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।”