Thursday, May 22, 2025
Homeবাংলাদেশদেশ ছাড়ার আসোল কারণ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

দেশ ছাড়ার আসোল কারণ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

‘আমি তো মারতে পারি না, তাই গালি দিই’—স্ট্রেট কাট-এ পিনাকী ভট্টাচার্য।

টাইমস বাংলাদেশ ডেস্ক | ৩ মে ২০২৫, শনিবার

“বাংলাদেশের এলিট শ্রেণি দেশের দুর্দশার মূল হোতা”— এমন অভিযোগ তুলেছেন নির্বাসিত লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আমি তো মারতে পারি না, তাই গালি দিই। গালিই আমার প্রতিরোধের ভাষা।”

‘আমি তো মারতে পারি না, তাই গালি দিই’—স্ট্রেট কাট-এ পিনাকী ভট্টাচার্য।
‘আমি তো মারতে পারি না, তাই গালি দিই’—স্ট্রেট কাট-এ পিনাকী ভট্টাচার্য।

শুক্রবার (২ মে) রাতে চ্যানেল আই-এর ‘সালাম স্টিল স্ট্রেট কাট’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দীপ্তি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পিনাকী আত্মগোপন থেকে নির্বাসনে যাওয়ার পেছনের বাস্তবতা তুলে ধরেন।

গালির ভাষা কেন?

অনুষ্ঠানে কনটেন্টে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পিনাকী বলেন,
“বাংলাদেশের শিক্ষা ও ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা এলিট শ্রেণিই দেশের সম্পদ পাচারের মাধ্যমে এ দেশের সাধারণ মানুষের দুর্দশার কারণ। গার্মেন্টসে কাজ করা শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকরা দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। অথচ তাদের সম্পদ লোপাট করে বিদেশে পাচার করে এই এলিটরা।”

তিনি আরও বলেন, “এলিটদের তিনটা ভয়—সম্মান হারানো, মার খাওয়ার ভয়, এবং সম্পদ হারানোর ভয়। আমি মারতে পারি না, তাই গালি দিই। যাতে অন্তত সম্মানের ভয়টা টিকে থাকে। এতে যদি তাদের কিছুটা সাইজ করা যায়, সেটাই হবে দেশের জন্য মঙ্গল।”

দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পেছনের কাহিনি

পিনাকী জানান, ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শহীদুল আলম গ্রেপ্তার হওয়ার দিন তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ডিজিএফআই কার্যালয়ে। প্রথমে ভদ্রভাবে ফোন করে ডাকা হলেও দ্বিতীয় কলে কঠোরভাবে জানানো হয়, সেদিন সন্ধ্যার আগেই যেতে হবে।

পিনাকী বলেন, “আমি তখন হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে কথা বলি। তারা সবাই বলেন—না যেতে, বরং আত্মগোপনে যেতে। এরপর থেকেই আমি লুকিয়ে থাকি। ৫ মাস ঢাকা শহরে আত্মগোপনে ছিলাম। পরে বাসা ও অফিসে রেইড হয়। ডিজিএফআই সারাক্ষণ নজরদারিতে রাখে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিজিএফআই যাদের ধরে, তাদের অনেকেই ফেরে না। আমি তখন গুমের শিকার হওয়া মানুষদের ডকুমেন্ট করছিলাম। সেখান থেকেই জানি, কীভাবে মানুষ ‘উধাও’ হয়ে যায়।”

নির্বাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয়

দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গে পিনাকী বলেন,
“একটি ফরাসি মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে কাজ করতাম। তারা ভিসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর আমি ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করি।”

RELATED ARTICLES

Most Popular