আজ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ!
ঢাকা, ১০ মে ২০২৫ —
আজ শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বিশেষ বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়, যার ফলে এখন থেকে ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি প্রদানের অধিকার পাবে। সংশোধিত আইনটি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ:
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে:
- আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম
- অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় প্রচারণা
- অঙ্গসংগঠন ও সমর্থকদের সমাবেশ বা কর্মসূচি
- সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগের যেকোনো ধরনের সক্রিয়তা
সরকারি আদেশ অনুযায়ী, এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিপত্র আগামী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
“জুলাই ঘোষণাপত্র” চূড়ান্ত হচ্ছে:
আজকের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে—”জুলাই ঘোষণাপত্র” আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
এই ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রকাঠামো, শাসনব্যবস্থা এবং নাগরিক অধিকারের রূপরেখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের মুখপাত্র বলেন:
“আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার বিলম্বিত হওয়া উচিত নয়। ন্যায়বিচারের স্বার্থে যেসব শক্তি যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত, তাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখাই এখন সময়ের দাবি। দেশ ও জনগণের নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার।”